চট্টগ্রামে ৮০০ গণপরিবহনের রুট পারমিট বাতিল, প্রতিবাদে অটো টেম্পো মালিক শ্রমিকদের মানববন্ধন

Passenger Voice    |    ১১:৪৪ এএম, ২০২৪-০৩-০৫


চট্টগ্রামে ৮০০ গণপরিবহনের রুট পারমিট বাতিল, প্রতিবাদে অটো টেম্পো মালিক শ্রমিকদের মানববন্ধন

মোঃ জয়নাল আবেদীন:  চট্টগ্রামে অসঙ্গতিপূর্ণ ও রুট পারমিট ছাড়া চলাচল করা গণপরিবহন শনাক্ত করতে দীর্ঘ জরিপ চালিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটির (আরটিসি) তিনটি দল। জরিপ অনুযায়ী অসঙ্গতিপূর্ণ টেম্পো রয়েছে ৫৬১ টি, হিউম্যান হলার প্রায় ৪৫ এবং বাস মিনিবাস হচ্ছে প্রায় ২০০ টি।

গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত আরটিসির এক সভায় সড়কে শৃঙ্খলা ও গতি ফেরানোর ক্ষেত্রে অন্তরায়গুলো খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি আরটিসির পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জরিপ টিমের তদন্ত প্রতিবেদনের প্রস্তাব ও সুপারিশ অনুযায়ী হিউম্যান হলার,টেম্পো ও দুই শতাধিক বাস-মিনিবাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আরটিসির এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামে রুট পারমিট বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে অটোটেম্পো মালিক সমিতির নেতাকর্মীরা।

রোববার ৩ মার্চ হাটহাজারী উপজেলার নতুনপাড়া বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় মানববন্ধনকারীরা। এসময় তারা নতুন পাড়া থেকে অক্সিজেন মোড় এলাকায় মিছিল বের করে প্রতিবাদ জানান।এতে অর্ধশতাধিক মালিক/চালকের উপস্থিতি দেখা গেছে।

এরপর ৪ ই মার্চ সোমবার সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি করেন অটো টেম্পো মালিক সমিতির একাধিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আরটিসিকে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বের হয়ে আসতে হবে।এ ছাড়া বিআরটিএ কর্তৃক ফিটনেস প্রদানে গড়িমসি বন্ধ করতে হবে।আমরা আরটিসির বিতর্কিত ও এক পক্ষীয় জরিপ মানিনা।আরটিসি কমিটিতে ডিজেল চালিত অটোটেম্পো মালিক প্রতিনিধিত্ব চাই।সেই সাথে লাইফ টাইম থাকা পর্যন্ত রুট পারমিট  ও ফিটনেস দিতে হবে।সিএমপি এলাকায় যাত্রী উঠা-নামার নির্ধারিত স্থান ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।তাছাড়া গাড়ি যাওয়া-আসা ও বিকল হলে ভিন্ন রুটে যাওয়ার রুট পারমিটের মামলা বন্ধ করতে হবে।আমরা কোন অজুহাত মানিনা।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অটো-টেম্পোর রুট পারমিট বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

এই বিষয়ে বিআরটিএ উপ পরিচালক আইনুল হুদা প্যাসেঞ্জার ভয়েসকে বলেন, যেসব গাড়ির ইঞ্জিন পরিবর্তন হয়েছে সে সকল গাড়িকে ৬ মাসের সময় দেওয়া হবে ইঞ্জিন পরিবর্তন করার জন্য। যদি ইঞ্জিন পরিবর্তন না করে তাহলে রুট পারমিট বাতিল করা হবে। এছাড়া কিছু গাড়ির চেসিস অস্পষ্ট বা চেসিস খোদাই এসব গাড়ির ক্ষেত্রে মালিকদের শোকজ দিবো। যদি তারা যথাযথ প্রমান করতে পারে সেটা ভিন্ন বিষয় এবং প্রক্রিয়া চলছে। গণপরিবহনের সংকট দূরীকরণে কিছু নতুন গাড়ির পারমিট দেয়া হয়েছে। যারা পারমিটের জন্য আবেদন করেছেন এবং যাদের আবেদন সঠিক রয়েছে অর্থাৎ রোডের চাহিদা ও ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী কিছু গণ পরিবহন অনুমোদন হয়েছে তবে এখনো রেজুলেশন হয়নি।

তিনি আরো বলেন, অটো টেম্পো মালিক শ্রমিকদের আন্দোলনে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবেনা। এটা আরটিসির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখানে পরিবর্তনের বিষয় নেই, ইতোমধ্যে রেজুলেশন হয়ে গেছে। মালিক শ্রমিক চাইলে তখন আন্দোলন করত তাহলে ঝামেলা ছিলনা। তাদের গাড়ি কি সমস্যা দেখা দিয়েছে যে জরিপ কমিটি ছিল সেখানে জরিপ কমিটির প্রধান ছিলেন ট্রাফিকের ডিসি মহোদয়। তখন যদি বিষয়টি বলা হতো তাহলে জরিপ কমিটি বিবেচনা করত।যদি পরবর্তীতে কমিশনার মহোদয়ের নিকট আবেদন করত। কিন্তু এক দেড় বছর পর এসে যদি আন্দোলন করে তাহলে কিভাবে হবে।

কি কি কারণে রুট পারমিট বাতিল করা হচ্ছে বিষয়টি  প্যাসেঞ্জার ভয়েস অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ আহম্মদের কাছে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।